মনে রাখবেন বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাপ বিষহীন।
২) আগে ধারনা ছিল যত তারাতারি সম্ভব সাপে কামড় দেয়া স্থানের কিছু উপরে এবং নিচে শক্ত করে বেধে দিলে বিষ ছড়াতে পারে না, কিন্তু বর্তমানে এটা ভুল প্রামানিত হয়েছে। এতে প্যারালাইসড হতে পারে। তাই এভাবে না বাধাই ভালো। ছবির মত করে বাঁধা যেতে পারে যাতে করে রক্ত চলাচল করতে পারে। কারন বিষাক্ত সাপের কামড়ে রোগী ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে সঠিক চিকিৎসা না পেলে মারা যাবে।
৪) আক্রান্ত স্থানের চারপাশে টিপে রক্ত বের করে দিতে পারেন তবে কোন অবস্থাতেই মুখ লাগাবেন না। এই কাজ টা সুষ্ট ভাবে না করতে পারলে না করাই ভাল।
৫) যত তারাতারি সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে এন্টি ভেনম ইঞ্জেকসন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।
একটা কথা মনে রাখবেন সাপে কাটা রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী মারা যায় আতঙ্কে হার্টফেল করে। তাই বিষমুক্ত সাপের কামড়েও অনেক রোগী মারা যায়। রোগীকে চিন্তামুক্ত রাখতে হবে। তারপর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
অ্যান্টিভেনিন প্রয়োগ
এই চিকিত্সার ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে রোগীকে আশ্বস্ত করে একটি স্যালাইন ড্রিপের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব অন্তত দশটি ভায়াল অ্যান্টিভেনিন চালিয়ে দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে অ্যান্টিভেনিন প্রয়োগ জীবনদায়ী চিকিত্সা। এরপর কী পরিমাণ অ্যান্টিভেনিন তাকে চালানো হবে এটি নির্ভর করবে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপর। তবে বিষধর সাপের কামড়ে সাধারণত ৫০ ভায়াল অ্যান্টিভেনিন প্রয়োজন হয়।
এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক ভাবে রোগীকে সুস্থ করার জন্য যা করা দরকার তা-ই করতে হবে। যেমন শ্বাসযন্ত্রের নালি বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচাতে হলে সাকার মেশিন দিয়ে সমস্ত জমে থাকা লালা, থুতুকে টেনে বার করে দিতে হবে। অন্য দিকে রক্তপাত ঘটলে বিশেষত মূত্রে রক্ত দেখা দিলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে চন্দ্রবোড়ায় কামড়েছে এবং ডায়ালিসিস করতে হবে। এর জন্য কোনও বড় হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
চন্দ্রবোড়ায় কামড়ালে রক্তের স্বাভাবিক জমাট বাঁধতে অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে একটি সহজ পরীক্ষা হল একটি টেস্টটিউবে ২০ সিসি রক্ত টেনে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে দেখা হয় রক্ত জমাট বাঁধছে কিনা। যদি রক্ত জমাট না বাঁধে তা হলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে মানুষটিকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়েছে.SEE-MORE
2 Comments
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThanks
ReplyDelete