Header Ads Widget

Ticker

6/recent/ticker-posts

সাপের কামড়

মনে রাখবেন বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাপ বিষহীন।


১) সাপে কামড়ে মানুষ অনেক সময় আতঙ্কে মারা যান। কাউকে সাপে কামড়ালে তাকে আসস্ত করতে হবে, আতঙ্ক মুক্তকরার চেষ্টা করতে হবে। আক্রান্ত মানুষটিকে বেশি আতঙ্কিত হতে দেবেন না। এতে শরীরে অন্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। এমনকি ডায়াবেটিক রোগীদের ব্লাড লেভেল বেড়ে যেতে পারে। 


 ২) আগে ধারনা ছিল যত তারাতারি সম্ভব সাপে কামড় দেয়া স্থানের কিছু উপরে এবং নিচে শক্ত করে বেধে দিলে বিষ ছড়াতে পারে না, কিন্তু বর্তমানে এটা ভুল প্রামানিত হয়েছে। এতে প্যারালাইসড হতে পারে। তাই এভাবে না বাধাই ভালো। ছবির মত করে বাঁধা যেতে পারে যাতে করে রক্ত চলাচল করতে পারে। কারন বিষাক্ত সাপের কামড়ে রোগী ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে সঠিক চিকিৎসা না পেলে মারা যাবে।


৩) কামড় দেয়া স্থানটি যত দূর সম্ভব নড়াচড়া না করবার চেষ্টা করুন। 
৪) আক্রান্ত স্থানের চারপাশে টিপে রক্ত বের করে দিতে পারেন তবে কোন অবস্থাতেই মুখ লাগাবেন না। এই কাজ টা সুষ্ট ভাবে না করতে পারলে না করাই ভাল। 


 ৫) যত তারাতারি সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে এন্টি ভেনম ইঞ্জেকসন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন।

সব কথার বড় কথা রুগীকে আতঙ্ক মুক্ত করা।

একটা কথা মনে রাখবেন সাপে কাটা রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী মারা যায় আতঙ্কে হার্টফেল করে। তাই বিষমুক্ত সাপের কামড়েও অনেক রোগী মারা যায়। রোগীকে চিন্তামুক্ত রাখতে হবে। তারপর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিত্সককে নিশ্চিত হতে হবে যে ব্যক্তিকে বিষধর সাপে কামড়েছে। এর জন্য মানুষটিকে অন্তত ঘণ্টাখানেক পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। বিষধর সাপে কামড়ালে চামড়ায় অন্তত স্পষ্ট দু’টি দাঁতের দাগ থাকবে এবং ক্ষতস্থানটির স্থানীয় ভাবে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। যদি এ সব কিছুই না দেখা যায় এবং মানুষটির কোনও শারীরিক উপসর্গ না দেখা যায় তা হলে ধরে নেওয়া হয় যে এই সাপটি বিষহীন। সাপটিকে ধরতে পারলে এর সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। যা-ই হোক, যদি চিকিত্সক মনে করেন মানুষটিকে বিষধর সাপে কামড়েছে তা হলে দ্রুত তার চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে হবে।

অ্যান্টিভেনিন প্রয়োগ

এই চিকিত্সার ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে রোগীকে আশ্বস্ত করে একটি স্যালাইন ড্রিপের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব অন্তত দশটি ভায়াল অ্যান্টিভেনিন চালিয়ে দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে অ্যান্টিভেনিন প্রয়োগ জীবনদায়ী চিকিত্সা। এরপর কী পরিমাণ অ্যান্টিভেনিন তাকে চালানো হবে এটি নির্ভর করবে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির ওপর। তবে বিষধর সাপের কামড়ে সাধারণত ৫০ ভায়াল অ্যান্টিভেনিন প্রয়োজন হয়।

এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক ভাবে রোগীকে সুস্থ করার জন্য যা করা দরকার তা-ই করতে হবে। যেমন শ্বাসযন্ত্রের নালি বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচাতে হলে সাকার মেশিন দিয়ে সমস্ত জমে থাকা লালা, থুতুকে টেনে বার করে দিতে হবে। অন্য দিকে রক্তপাত ঘটলে বিশেষত মূত্রে রক্ত দেখা দিলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে চন্দ্রবোড়ায় কামড়েছে এবং ডায়ালিসিস করতে হবে। এর জন্য কোনও বড় হাসপাতালে পাঠাতে হবে।

চন্দ্রবোড়ায় কামড়ালে রক্তের স্বাভাবিক জমাট বাঁধতে অসুবিধা হয়। এ ব্যাপারে একটি সহজ পরীক্ষা হল একটি টেস্টটিউবে ২০ সিসি রক্ত টেনে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে দেখা হয় রক্ত জমাট বাঁধছে কিনা। যদি রক্ত জমাট না বাঁধে তা হলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে মানুষটিকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়েছে.SEE-MORE

Post a Comment

2 Comments

Ad Code